অবশ্যই প্রেমের কবিতা

 

তোমার কবিতা পড়ার শখ হলে –
তুমি পড়ো
শেলী, শেক্সপিয়র, সিলভিয়া প্লাথ আর বাঙ্গালীদের মধ্যে শঙ্খ ঘোষ।
বৈশ্বিক রাজনীতি আর অর্থনীতি বদলে যায় তোমার খোলা চুল ছুঁয়ে –
দুপুরে তোমার খোলা পেটে রোদ লেগে বদলে যায় জলবায়ু।

আমার কবিতা পড়ার শখ হলে তোমার কথা ভাবি –
তোমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শব্দেরা
খাঁ খাঁ চৈতের মাঠে দাঁড়িয়ে –
সৈনিকের মতন আমার দিকে বন্দুক তাক করে রাখে।

অথচ;
পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কীয় একটা-দুইটা কূটনৈতিক বৈঠক করতে পারলে
আজ আমাদের কবিতার হাওয়া বদলে যেত,
আমরা সত্যিকার প্রেমের অভাব বুঝতে পারতাম।
কবিতার নামে –
তোমার আঁচল টেনে মুখ মুছে
খোলা পিঠে মুখ ঘষে প্রেম দেখিয়ে
এসব
মোলায়েম কবিতা লিখতে হতো না।

যখন আমার কবিতায় তুমি থাকতে
তখন সেটা দুটি রাষ্ট্রকে নিয়ে কথা বলত,
আমরা রাষ্ট্রদূত হতাম।
তোমার কবিতায় আমি শুনতে পাই জীবনের অনুসিদ্ধান্ত –
যেখানে প্রেম আর জীবন একই অন্তরঙ্গ বিন্দুতে এসে মিশেছে।

অথচ-
‘প্রেম
রাষ্ট্র
জীবন’

এই অস্তিত্বগুলোকে সবসময় ভেবে এসেছি আলাদা আলাদা,
প্রেমিকা থেকে তুমি রাষ্ট্র হয়ে গেছো;
প্রেমিকার অবহেলা তাও সওয়া যায়, রাষ্ট্রের নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *