এলোপ্যাথি মনোপ্যাথি

আট প্রহরের শেষ প্রহরে এসে সম্ভবত ভুল বানানে লিখতে বসেছি আলুথালু উপকথা। 
রাত্রি প্রায় চার ছুঁইছুঁই, সময়টা টুকে রাখছি তার কারণ ফিরে এসে যখন পড়ব সময়টা খুব জানতে ইচ্ছে করবে৷ না জানতে পেলেও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিশেষ কিছু বাড়বে না। 
ঘড়িতে দু’টো ত্রিশ বেজে গেছে অনেক আগেই। 
দুই আর ত্রিশের কাটার মধ্যে গুঁজে দিয়ে নিজেকে পারিনি ঘুমিয়ে যেতে। পুরাতন চৌকির সাথে পা উল্টো করে ঘষতে ঘষতে কেটে গেছে সময়, আর ভেঙে গেছে নখের আব্রু। আলাদীনের চৌকি হলে বোধহয় দৈত্য টৈত্য বেরতো। 
স্যাভলন মাখতে হবে, মনে মনে খুঁজছি প্ল্যাস্টিকের বৈয়াম। মে’মাসে ছিল বেলকনিতে, তার আগের মাসে টেবিলের নিচে! এ মাসে বাসা বদলেছি; নেই, কিনতে হবে। লিখে রাখি। লিখে রাখি। 
জেগে থাকবো নাকি ঘুমিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করব, কিংবা বসব একটু এটা এঁটো নিয়ে; এসব পাঁচকথা কানের কাছে শুনে চোখে বলছে: ব্যথা!
শরীরের সাথে বোঝাপড়া ভাল’ই ছিল, কেবল বুঝিনা ইদানীং আমাকে না বলেই কান, নাক, চোখ, পেট সেরে নেয় টিম মিটিং!
এই খারাপির নাম জানি না!
এলোপ্যাথি মনোপ্যাথি, ভালোবাসা বুঝিসুঝি!! 
অসুখ আমার চিত্তে তো নয়, ওটা আছে ভালো। 
ঘুমোপ্যাথি শিশিপ্যাথি – রাত্রি বেজায় কালো।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *