নয়টি কথা

 ১) 

আমি আমার সেই বন্ধু দিব্যেন্দু, যাকে দেখলে আমার মায়া হয়,
মনে হয় ইশ! যদি ওর জন্য কিছু করতে পারতাম!

২) 

মানুষ জল হয়ে যায়, যখন জলের স্পর্শ পায়-
আগুন তবু হয় না মানুষ; যদিওবা পোড়ে সে রোজ

৩)

গ্রন্থ যে ধর্মেরই হোক, যে ভাব নিয়ে পড়ছ তুমি- সে ভাবই গ্রন্থের ধর্ম।

৪) 

যুগপৎ স্তুতি আর ভৎসনা তোমায়-
আমাকে ভালো কেন বাসো?
বাসো যখন-
এত কম কেন বাসো?

৫) 

মেঘের কথা বলে তোমাকে বৃষ্টির হাতে তুলে দিলেম,
বললেম; ভালোবাসো বলো?
নয়ত ভালোবাসি বলে-
তোমাকে জমের হাতে তুলে দেব।।

৬)

আজীবন খুঁজে দুঃখের সমার্থক শব্দ,
দেখেছি;
আমাদের নিঃশ্বাসেই বের হয় পরিশুদ্ধ শোকবার্তা

৭) 

কখনো কখনো নিজেকে পৃথিবীর মতন মনে হয়
যেন এই সৌরমণ্ডলে কেবল আমিই একমাত্র বসবাসের যোগ্য;
মানুষের পদচারণ আর জীবনের অস্তিত্ব একমাত্র আমার অভ্যন্তরেই।
বাকী সব তুমি, তোমরা: বুধ, শনি, মঙ্গল অথবা বৃহস্পতি। 

৮)

তোমার দুঃখ যদি আমার কবিতায় দেখতে না পাও,
যদি দেখতে না পাও আমি লিখতে শিখেছি তোমার পূর্বজন্মের কথা,
তোমার পিতা, পিতামহ, প্র-পিতামহ আর তোমার ভ্রূণের কথা,
তাহলে সে কবিতা আমি লিখিই নি।

৯) 

কখনো কখনো কেবলমাত্র একটা ‘লাইন’ বা একটা ‘শব্দ’ পছন্দ হয়েছে বলে
কিনে নিয়েছো গোটা অখণ্ড রচনাসমগ্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *